নয়া দিল্লি: দেশের আরও ২০ কোটি মানুষ দররিদ্র হয়েছে বলে দাবি করেন তা রাহুল গান্ধী। এই বিষয় নিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশ করল বিজেপি। পদ্ম-শিবিরের অভিযোগ, দেশের দারিদ্র বৃদ্ধি নিয়ে রাহুল মিথ্যা দাবি করেছেন। কমিশন যেন তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করে। আর্জি জানানো হয়েছে বিজেপি-র পক্ষ থেকে। এখানেই শেষ নয়, গেরুয়া শিবিরের আরও দাবি, রাহুল ভোটের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। ভাষা ও অঞ্চলের ভিত্তিতে দেশে উত্তর-দক্ষিণ বিভাজন করছেন তিনি।
রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিল বিজেপি-র প্রতিনিধির দল। তাদের মধ্যে ছিলেন জাতীয় সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুঘ ও দলের মুখপাত্র অনিল বালুনি। লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে রাহুল বিজেপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করছেন বলে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে নালিশ ঠুকে এসেছে বিজেপি-র প্রতিনিধি দল।
কমিশনে নালিশ জানানোর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিল বিজেপির প্রতিনিধি দল। সাংবাদিক বৈঠক করে তরুণ চুঘ ও অনিল বালুনি জানিয়েছেন যে রাহুল গান্ধী কোনও প্রমাণ ছাড়াই মিথ্যা প্রচার করছেন। কংগ্রেস নেতা বলেছেন, দেশের আরও ২০ কোটি মানুষ দরিদ্র হয়েছেন। অথচ তাঁর এই দাবির পক্ষে কোনও প্রমাণই নেই।
নিজেদের সপক্ষে যুক্তি রাখতে গিয়ে বিজেপির প্রতিনিধি দল নীতি আয়োগের রিপোর্টও তুলে ধরে সাংবাদিকদের সামনে। বিজেপি নেতারা জানান যে রিপোর্ট অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী মোদী সরকারের আমালে দশ বছরে প্রায় ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার নিচ থেকে বেরিয়ে এসেছেন। একই সঙ্গে তাঁদের বক্তব্য, রাহুল গান্ধী ভাষা এবং অঞ্চলের ভিত্তিতে উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে বিভাজনের রাজনীতি করছেন। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তরুণ চুঘ বলেছেন, বিজেপি সমস্ত ভাষাকে সম্মান করে। তামিল ভাষার জন্য গর্বিত তারা। তাদের ইস্তেহারেও তামিল ভাষার প্রচারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাহুল গান্ধী ঘৃণ্য কাজ করেছেন। তাঁর জন্য দেশের আভ্যন্তরীণ শান্তিও বিঘ্নিত হতে পারে। তরুণ চুঘ আরও বলেন, “আমরা এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। কংগ্রেস নেতা বক্তৃতার সেই লিঙ্কও দিয়েছি। তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি।”