আরজি কর-কাণ্ডে নির্যাতিতার নাম প্রকাশ, ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে ২৮০ জনকে নোটিশ দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। সেই তালিকায় ছিলেন কলকাতার দুই চিকিৎসক ড. সুবর্ণ গোস্বামী ও ড. কুণাল সরকার ৷ এ দিন তাঁদের হাজিরাকে কেন্দ্র করে জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরসের ডাকে সিনিয়র ডাক্তাররা বেলা ২টোর সময় মেডিক্যাল কলেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ব্লকের সামনে জমায়েত করেন । সেখান থেকে মিছিল করে লালবাজার আসেন সুবর্ণ ও কুণালের সঙ্গে। এদিন দুপুর ৩টে ২০ মিনিট নাগাদ লালবাজারে আসেন হাজিরা দিতে। প্রায় এক ঘণ্টা ১০ মিনিট বাদে তাঁরা লালবাজার থেকে বের হন। এদিন মিছিলে চিকিৎসক মানস গুমটার কথায়,’নির্বোধের মতো অপ্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। এই পরিস্থিতিতে যেভাবে পুলিশ ভয় পেয়ে, আতঙ্কিত হয়ে যেভাবে শত্রু খুঁজে বেড়াচ্ছে চিকিৎসকের মধ্যে তা নিতান্ত অপ্রয়োজনীয়।’
প্রথমে ফিয়ার্স লেনে মিছিল আটকাতে প্রথম ব্যারিকেড তৈরি করে পুলিশ। এরপর ব্যারিকেড খুলে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয় কুণাল সরকার ও সুবর্ণ গোস্বামীকে।
কুণাল সরকার বলেন, ‘আমি বা সুবর্ণ দু’জনের একজনও কেউ খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন নই, তাহলে আমাদের সমন দিয়ে নিয়ে যাওয়ার দরকার কী ছিল?’
পরে বাইরে এসে ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, “আমাদের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা করেছেন কলকাতা পুলিশ । কোন কোন জায়গায় ভুল ত্রুটি রয়েছে, সাধারণ মানুষ এবং চিকিৎসক মহল কেন ক্ষুব্ধ, সেই বিষয়ে জানতে চেয়েছিল । সর্বোপরি চিকিৎসক সংগঠনগুলির থেকে কলকাতা পুলিশ সাহায্য চেয়েছে । কারণ, কলকাতা পুলিশ শহরের শান্তি ফেরাতে চায় । আমরা পুলিশের বক্তব্য শুনলাম । আমাদের যা কর্মসূচি রয়েছে সেগুলো চলবে । সংগঠনগুলির সঙ্গে আলাপ আলোচনা করার পর মতামত জানানো হবে ।”