মৃনাল সেনের হাত ধর “মৃগয়া”য় হাতে খড়ি দিয়ে, ডিস্কো ড্যান্সের হিল্লোলে তামাম ভারতকে নাচিয়ে মিঠুন চক্রর্তী সুপার স্টার হয়ে যান। অনেকটা পথ পেড়িয়ে দেশের সিনেমা জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মান দাদা সাহেব ফাল্কে পুরষ্কার পাচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী।
একটা সময় বলিউডে তিনি যেমন কাঁপিয়েছেন তেমন টলিউডেও তাঁর জনপ্রিয়তা এখনও কমেনি। এবার দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের জন্য মিঠুন চক্রবর্তীর নাম ঘোষণা হওয়ায় খুশি বাংলার শিল্পীমহল। বাইরে তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে সকলের ‘দাদা’ ৷ অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে টেকনিশিয়ান, সকলকে যেন এক সুতোয় বেঁধে রাখেন তিনি। বর্তমানে মিঠুনের রাজনৈতিক পরিচয় বিজেপি নেতা হওয়ায় খোঁচা দিতে ছাড়ছেন না বিরোধী তথা তৃণমূল। যদিও বিরোধীরা যে কটাক্ষ করছেন, সেই সম্পর্কে মিঠুন বলেছেন, এটাই স্বাভাবিক। দলে থাকলে তো বলতেই হবে।
একইসঙ্গে বর্তমান টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে যখন হাজারো অভিযোগে উঠে আসছে তখন নেপথ্যের কারণ বিশ্লেষণ করলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী।
বাংলা বিনোদন দুনিয়ায় রাজনীতি ঢুকে গিয়েছে’৷ আমি 30 বছর মজদুর ইউনিয়ের প্রেসিডেন্ট ছিলাম ৷ সেই ইউনিয়ন আমিই তৈরি করেছিলাম ৷ মাত্র ৭ হাজার টাকা দিয়ে তৈরি সেই ইউনিয়নে এখন ৩০ কোটি টাকা রয়েছে ৷ একটা বিষয় জানাই সকলকে ৷ টিভি চ্যানেলের এক রিলেলিটি শোতে একটা ছেলে ও দুই মেয়ে এসেছিল ৷ তাঁদের আর্থিক সঙ্গতি ছিল না ৷ ফলে ইউনিয়নের তরফে তাঁদের বিয়ের খরচ থেকে শুরু করে পড়াশোনার ভার নেওয়া হয় ৷”