উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে দুষ্কৃতীদের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন দুই পুলিশ কর্মী। বর্তমানে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার তাঁদের দেখতে হাসপাতালে যান। সেখানে গিয়ে রাজীব কুমার বলেন, বন্দুকের জবাব বন্দুক দিয়েই দেওয়া হবে। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমাদের গুলি করলে, আমরা চারগুণ গুলি চালাব। কীভাবে মোকাবিলা করতে হয় জানি। আমরা প্রশিক্ষিত। গুলি করলে কী করতে হয়, তা জানা আছে।”
এদিন শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটে উত্তরবঙ্গের উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক সারেন ডিজি রাজীব কুমার ও এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম । বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গের আইজি রাজেশ যাদব, পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর, ডিসিপি বিশ্বচাঁদ ঠাকুর, রাকেশ সিং-সহ অন্যান্যরা।
বৃহস্পতিবার বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে নেমে মাটিগাড়ার উদ্দেশে রওনা দেন। নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন ওই দুই পুলিশকর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন উত্তরবঙ্গের আইজি রাজেশ যাদব।এরপর সাংবাদিকদের সামনে তিনি জানান, আদালতের লকআপেই দেখা করার সুযোগে বিচারাধীন বন্দিকে আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছিল জামিনে মুক্ত অন্য অভিযুক্ত। এদিন আহত দুই পুলিশকর্মীর সঙ্গে দেখা করে তাঁদের শারীরিক পরিস্থিতির খবরাখবর নেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার ও এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিমও, সঙ্গে ছিলেন শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর-সহ অন্যান্যরা। দুজন পুলিশ কর্মীকে এরকমভাবে গুলি করে বন্দী পালিয়ে যাওয়ায়, পুলিশের নিচু তলায় নিরাপত্তার অভাব দেখা দিয়েছে। তাদের মনোবল যাতে তলানিতে না পৌঁছয়, সেজন্য তড়িঘড়ি দিদি রাজিব কুমার শিলিগুড়িতে ছুটে গিয়েছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।