জালে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি আজাদ শেখকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
কালীঘাটের সামনে থেকে গ্রেফতার একচল্লিশ বছর বয়সী আজাদ শেখ। ১৮ তারিখ সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ অভিযুক্ত ব্যক্তি নেতাজি নগর থানার এক পুলিশ কর্মীকে ধাক্কা মারে কালীঘাটের সদানন্দ রোডে। এরপরই গুরুতর জখম অবস্থায় পুলিশ কর্মী সুষেন দাসকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গাড়ি এবং চালককে গ্রেফতার করে কালীঘাট থানা। তদন্ত চলাকালীন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে পুলিশের হাতে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘাতক বাইক চালক আজাদ আদতে বাংলাদেশি। তাঁকে গ্রেফতার করে তাঁর লাইলেন্স, আধার কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়। এরপরই তা খতিয়ে দেখে জানা যায়, সমস্ত নথি জাল করেই এদেশের নথি বানিয়েছিলেন আজাদ। তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ফরেন অ্যাক্ট- র অধীনে মামলা করে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানা গেছে।
প্রাথমিকভাবে আজাদকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ভারতে এসেছিলেন তিনি। এই ঘটনায় বাংলাদেশি আজাদকে লুকিয়ে রাখতে সাহায্য করেছিলেন জাফর আলি শেখ নামে এক ব্যক্তি। জেরায় তাঁরও নাম উঠে এসেছে। তল্লাশি চালিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার ন্যাজাট থেকে জাফরকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। জাফরকে নিজের বড়দাদা পরিচয় দিয়ে আধার কার্ড বানিয়েছিলেন আজাদ। দু’জনের বাবার নাম একই রয়েছে আধার কার্ডে। বাংলাদেশি জাফরের বাড়িতে দীর্ঘদিন ভাড়া ছিলেন আজাদ। দীর্ঘদিন ভাড়া থাকার সুবাদে সম্পর্ক সুদৃঢ় হতে জাফর আজাদকে এদেশের নথি বানিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন বলেও খবর। এরপরই জাফরকে দাদার পরিচয় দিয়েই বাংলাদেশি আজাদ এদেশের সমস্ত নথি বানিয়ে নেন তিনি। আজাদ শেখকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।