কলকাতা হাইকোর্ট 2016 সালের এসএসসির পুরো প্যানেল বাতিলের রায় দিয়েছে।যার জেরে প্রায় ছাব্বিশ হাজার স্কুল শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর চাকরি বাতিল হয়ে গেল।
কলকাতা হাইকোর্ট 2016 সালের এসএসসি নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে ৷ যে রায় ঘোষণার সময় ডিভিশন বেঞ্চ মন্তব্য করে, “সতেরো রকম উপায় জালিয়াতি করে চাকরি চুরি করা হয়েছে ৷”
কলকাতা হাইকোর্ট আজকের রায়ে নতুন করে টেন্ডার ডেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছে ৷ এই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া কবে থেকে শুরু হবে ? তবে, লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন কিছুই হবে না ৷ নিয়োগ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া ও টেন্ডারের বিজ্ঞপ্তি সব ভোট মিটলে হবে।
আজ 2016 সালের এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ৷ যে রায়ে নবম-দ্বাদশ এবং এসএলএসটি বা গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি’র নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিল করেছে আদালত ৷ পাশাপাশি, সিবিআইকে এই মামলায় তদন্ত জারি রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ বেআইনিভাবে যারা চাকরি পেয়েছিলেন, প্রয়োজনে তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷
এমনকি বেআইনি নিয়োগের জন্য অবৈধ চাকরিপ্রার্থীদের কথা মাথায় রেখে সুপার নিউমারিক পোস্ট তৈরি করা হয়েছিল ৷ তাঁদের প্রয়োজনে গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে আদালত ৷ রাজ্য সরকার ও তার মন্ত্রিসভার ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে ৷ আদালত 287 পাতার রায়ের কপিতে উল্লেখ করেছে, মোট চারটি ক্যাটাগরিতে বেআইনি নিয়োগের জন্য শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছিল ৷ এমনকি এসএসসি উত্তীর্ণদের তালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও নিয়োগপত্র পেয়েছেন অনেকে৷ আর এদের নিয়োগের জন্য এসএসসি অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করেছিল ৷ সব মিলিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেই 2016 সালের এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে মদতের অভিযোগ তুলেছে কলকাতা হাইকোর্ট ৷ এবার তার ভিত্তিতেই দুর্নীতিতে যুক্তদের ধরতে সিবিআই তদন্ত শুরু করবে। পাশাপাশি এইসব প্রার্থীদের চাকরি থেকে নেওয়া বেতন বারো শতাংশ সুদ সহ ফেরত দেওয়ার বিধানও দিয়েছে উচ্চ আদালত।
কলকাতা উচ্চ আদালত নিয়োগ দূর্ণীতিতে ২০১৬র এসএসসির সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করল
