শহরের রাজপথ দুই কার্নিভালে বিভক্ত। একদিকে রাজ্য সরকারের রেড রোডে চলল উৎসবের কার্নিভাল অপরদিকে দ্রোহের কার্নিভালে অবরুদ্ধ রাজপথ। জুনিয়র চিকিৎসক ও নাগরিক সমাজের দ্রোহের কার্নিভালের মানববন্ধনে বিচারের দাবির পাশাপাশি উঠল গো ব্যাক শ্লোগান। মন্ত্রী সুজিত বসু তার গাড়িতে জলের বোতল ছোড়ার অভিযোগ উঠল। তিনি অভিযোগ করেছেন, মিছিল থেকে তাঁর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তিনি বলেন, প্রতিবাদ করার অধিকার সবার আছে কিন্তু এটা কি ধরণের অসভ্যতা। আমাদের পুজোর লরি ওই রাস্তায় যাচ্ছিল, আমাদের অনেক লোক ছিল। কিন্তু পুজোয় কোনও সমস্যা আমরা চাইনি। যদিও পাল্টা মানববন্ধনে অংশ নেওয়া এক মহিলা বলেন, মন্ত্রীর গাড়ি আমার পায়ের উপর তুলে দিচ্ছিলো। মন্ত্রী বলে কি তিনি যা খুশি করতে পারেন?
একইসঙ্গে এদিন কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয় ধর্মতলা চত্বরে। তাঁকে লক্ষ্য করে গো-ব্যাক স্লোগান উঠল। আরজি কর কাণ্ডের শুরু থেকেই একাধাকি কারণে বিতর্কে জড়িয়েছেন ইন্দিরা।
এদিকে রাজ্যের কার্নিভালে মেডিক্যাল পরিষেবা দিতে কলকাতা কর্পোরেশনের যে দল এসেছিল সেই প্রতিনিধি দলের মেডিক্যাল অফিসারের বুকে বড় ব্যাচ ছিল। কালো টি শার্টে আঁকা ছিল শিরদাঁড়া। আর লেখা ছিল, ‘ শিরদাড়া বিক্সেরী হবে না’। এই অপরাধেই কলকাতা পুলিশ পৌর চিকিৎসক তপব্রত রায়কে আটক করে। দীর্ঘক্ষণ পরে তাকে পুলিশ ছেড়ে দেয়।